May 19, 2024, 7:35 pm

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০ দিন চলবে না মৈত্রী ট্রেন

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০ দিন চলবে না দু’বাংলায় চলাচলকারী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস। রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে (১৭ এপ্রিল) বুধবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ঢাকা-কলকাতা চলাচলকারী যাত্রীবাহি ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হক।

২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) ঢাকা-কলকাতার মধ্যে যাত্রা শুরু করেছিল একমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস। সে সময় দু’দেশের সীমান্তবর্তী দর্শনা ও গেঁদে রেলস্টেশনে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন-কাস্টমস করা হতো। এরপর যাত্রীদের যাত্রা সময় কমানোর জন্য দু’দেশের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস সীমান্তবর্তী স্টেশন দর্শনা ও গেঁদের পরিবর্তে স্ট্যাটিং পয়েন্ট অর্থ্যাৎ ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট ও কলকাতার চিতপুর স্টেশন থেকে করা শুরু হয়।

যাত্রীদের ইমিগ্রেশন-কাস্টমস সম্পন্ন করে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছাড়ে ট্রেনটি। এরপর সীমান্তবর্তী দেশের সর্বশেষ স্টেশন চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় পৌঁছায় দুপুর ১ টা ৪০ মিনিটে। দর্শনা স্টেশনে ২০ মিনিট যাত্রা বিরতি করে কেবলমাত্র ইঞ্চিন, গার্ড, ক্রু পরিবর্তন ও যাত্রীদের বুফে খাবার সরবরাহের জন্য। এ ছাড়াও ঈশ^রদী স্টেশনে ১৫ মিনিট দাঁড়ায় ওয়াটারিংয়ের জন্য। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের নদীয়া জেলার গেঁদে স্টেশনে ১০ মিনিট দাঁড়ায়। এ সময় গেইট লক থাকে ট্রেনটি। কোথাও কেউ উঠতে-নামতে পারেনা। বুফের খাবার ট্রেনের মধ্যেই সরবরাহ করা হয়।

বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিন ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচল করে ট্রেনটি। অর্থ্যাৎ রবিবারে ঢাকা থেকে কলকাতায় যাবে, ফিরে সোমবার। মঙ্গল,বুধ, শুক্র ও শনিবার দুটি করে ট্রেন চলাচল করে। এ দিনগুলোতে ঢাকা থেকে একটি যায় এবং আরেকটি কলকাতা থেকে আসে। কেবল বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে মেত্রী ট্রেন।

মৈত্রীর বহরে রয়েছে ১০টি কোচ। সব কোচগুলোই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। মৈত্রীর প্রতিটি যাত্রায় গড়ে ৪’শ যাত্রী আসা-যাওয়া করে থাকেন। যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ যাত্রী আসা-যাওয়া করেছেন। বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যাত্রীরা এ ট্রেনে ভ্রমন করেন।

ঢাকা থেকে কলকাতা ৫৩৮ কিলোমিটারের রেলপথে এসি কেবিন ভাড়া ৪ হাজার ৯০০ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ৩ হাজার ৬০০ টাকা। তবে ১ থেকে ৫ বছরের শিশুদের জন্য ৫০শতাংশ ছাড় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অনুসারে বয়স নির্ধারিত হবে। সিঙ্গেল কেবিনে ৩টি সীট ও ডাবল কেবিনে ৬টি সীটের টিকিট দেওয়া হয়। শুধুমাত্র কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে মৈত্রী ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে। টিকিট কাটার সময় ভিসাসহ পাসপোর্টের মূল কপি দেখাতে হবে। সপ্তাহে সাতদিন কাউন্টার খোলা থাকে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। অনলাইলে মৈত্রী ট্রেনের টিকিট দেয়া হয়না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :